সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সন্ত্রাসবাদ ও তার উৎস সন্ধান

সন্ত্রাসবাদ ও তার উৎস সন্ধান - আলী হোসেন আবির্ভাবের পর মানুষ প্রায় অন্যান্য প্রাণীদের মতই জীবন-ধারণ করত। বেঁচে থাকার জন্য অন্যদের মত খাদ্য সংগ্রহ ও জীবনের নিরাপত্তা বিধানই ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু অন্য প্রাণীদের তুলনায় মানুষের চিন্তন ক্ষমতা উন্নত হওয়ায় তারা তাকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য উৎপাদন শুরু করে। খাদ্য উৎপাদনকে কেন্দ্র করেই উৎপত্তি হয় ব্যক্তিগত সম্পত্তির। সম্পত্তির উপর অধিকার কায়েম করতে গিয়ে বেধে যায় গোষ্ঠী-লড়াই। এই লড়াই জন্ম দিয়েছে রাজনীতি তথা রাজনৈতিক ক্ষমতার। ক্ষমতার লড়াইয়ে জয়লাভ করেছে সেই ব্যক্তি, যার পেশী ও মাথার জোর বেশী। সন্ত্রাসবাদ ও তার উৎস সন্ধানে এই তথ্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। গোষ্ঠী-মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পেশী ও মগজের জোরওয়ালা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে একগোষ্ঠি ভেঙ্গে নতুন নতুন গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। পরবর্তীকালে শুরু হয়েছে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের লাড়াই। লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের পথ বেয়ে সেই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের লড়াই আজ বর্তমান চেহারা নিয়েছে। আসলে মানব সভ্যতার ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এই ক্ষমতা দখলের লড়াই যা সন্ত্রাসবাদ ও তার উৎস সন্ধান

সুদীপ্ত ভাস্কর দত্ত

কাল্পনিক আলাপচারিতায় বিশ্বকবি ও বিশ্ব বন্দিত সন্ন্যাসী [বাংলার নবজাগরণের দুই দিকপাল – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(১৮৬১-১৯৪১) ও স্বামী বিবেকানন্দ(১৮৬৩-১৯০২) সমকালিন সময়ে কলকাতায় জন্মেছিলেন। এঁদের পারস্পরিক সম্পর্ক কেমন ছিল বা এঁরা আদৌ পরস্পরের পরিচিত ছিলেন কিনা এই নিয়ে বাঙ্গালি সমাজের কৌতূহল আজও সীমাহীন। সন্ন্যাসজীবনের আগে বিবেকানন্দ (তখন, নরেন্দ্রনাথ দত্ত ) ‘সঙ্গীত কল্পতরু’ নামে যে গ্রন্থ সম্পাদনা করেছিলেন তাতে বেশ কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত স্থান পেয়েছিল। বস্তুতঃ, তিনি কবির কিছু গান শুধু পছন্দই করতেননা, নিজে গাইতেনও। তরুন বয়সে এঁরা দুজনেই কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত বাড়ির গানের আসরে একই সাথে অংশ গ্রহণ করেছিলেন – এমন ঘটনার কথাও জানা যায়। ঠাকুর পরিবারের এক তরুন সদস্য কলেজে নরেন্দ্রনাথের সহপাঠী ছিলেন এবং নরেন্দ্রনাথ তাঁর সাথে দেখা করতে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে প্রায়শই যেতেন। ফলে, খ্যাতনামা

কিন্নর রায়

বাংলা, বাংলা নয়, বাংলা হয় বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের অনেকের আবেগই পয়লা বৈশাখ, পঁচিশে বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি, কখনও কখনও উনিশে মে তে-ই সীমাবদ্ধ থাকে। এই সব নির্দিষ্ট দিনে আমরা  বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে কথা বলি, গান গাই, হয়তো তর্কও করি।

আলী হোসেন

ভাগ্য : মুসলিম মনস্তত্ত্ব, ধর্মদর্শন ও প্রগতি কপালের লেখন খণ্ডায় কার সাধ্য? জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কিংবা লেখাপড়া জানা-নাজানা নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের সিংহভাগই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই কথাটা মেনে নেয়। জীবনের উত্থান-পতনের ইতিহাসে কপালের লেখনকে জায়গা করে দিতে তারা কুণ্ঠাবোধ করে না। বরং বলা ভালো এব্যাপারে তারা অতিমাত্রায় উদার। মানুষের মনস্তত্বের এ-এক জটিল স্তর বিন্যাস। একই মানুষ বিভিন্ন সময়ে একই বিষয়ের বিচার বিশ্লেষণে ভিন্নভিন্ন দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করে। এ রকমই একটি দৃষ্টিকোণ হলো কপাল বা ভাগ্যের ভূমিকাকে সাফল্যের চাবিকাঠি বলে ভাবা। কখনও সে ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠার চেষ্টা করে, আবার কখনও নিজেই ভাগ্যের কাছে নির্দিধায় আত্ম সমর্পন করে। নিজের ব্যার্থতার পিছনে ভাগ্যের অদৃশ্য হাতের কারসাজির কল্পনা করে নিজের ব্যার্থতাকে ঢাকা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকে। মজার কথা, এক্ষেত্রে মুসলিম মানসের মনস্তত্ত্ব কখনও চেতনমনে আবার কখনও অবচেতন মনে উপরওয়ালাকে (আল্লাহকে) কাঠ গড়ায় তোলে বিনা দ্বিধায়। নির্দিধায় বলে দেয়, উপরওয়ালা রাজি না থাকলে কিছুই করার থাকেনা। সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা সবই তাঁর (আল্লার) হাতে। বিশ্লে

বুলবুল আহমেদ

সংস্কৃতির নিঃসঙ্গ পথিক মন তুমি কৃষি-কাজ জাননা, এমন মানব জমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা। --- রাম প্রসাদ সেন মানব-জনমে ফসল ফলে না নানা কারনে, সোনা ফলা অনেক পরের ব্যাপারে। সবচেয়ে বড়ো প্রতিরোধের সৃষ্টি করে সামাজিক ও রাষ্ট্রিক প্রতিবেশ। সেখানে মননের অভাব, প্রীতির অভাব, প্রেমের অভাব, বন্ধুতার অভাব সংযমের অভাব, সবচেয়ে বড় অভাব আত্মমর্যাদার। আর এতগুলো না-থাকা জায়গা করে দেয় নিখিল নিচতা, শঠতা, সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতার জন্য। নিজের জীবনে মানুষের অবাধ অধিকার। জগৎকে মেরামত করে এইসব হীনবৃত্তি দূর করার চেয়ে নিজেকে সংশোধন করা অধিক প্রয়োজন। এই কাজে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রয়েছে সংস্কৃতি চর্চার। ধর্ম নয়, রাজনীতি নয়, মতবাদী নয়, মুক্তির পথ দেখায় সংস্কৃতি –  মানুষ নিজেকে খুঁজে পায়। এই কথা বলেছেন মোতাহার হোসেন চৌধুরী (১৯০৩- ৫৬) একান্ত নিভৃতে ‘সংস্কৃতি-কথা’ প্রবন্ধ সংকলনে। তাঁর ভাবনার আকাশে মেঘের মত ছায়া ফেলেছেন ক্লাইভ বেল ও বার্ট্রাণ্ড রাসেল। তিনি আমাদের শুনিয়েছেন শুভবোধের, নিরঞ্জন বুদ্ধির, উচ্চকিত যুক্তির ও ব্যক্তিপ্রত্যয়ের কথা।

আবদুল হক

একজন গোবিন্দ দেব ও তাঁর নীরবতা দিবস গোবিন্দচন্দ্র দেব কেবল পণ্ডিত ও দার্শনিক ছিলেন না, জীবনযাপনে আক্ষরিক অর্থেই তিনি ছিলেন একজন পরহেযগার মানুষ। নীরব ধ্যানী, নিবিষ্ট চিন্তক, নিভৃত সাধক। আমরা কেউ পুণ্যবাদী, কেউ পুঁজিবাদী। তিনি এ দুয়ের বাইরে গিয়ে, উর্ধে উঠে, হয়েছিলেন মানুষবাদী।

A TRIBUTE TO CHAPLIN

Kakali Roy My first introduction to a Chaplin film dates back to the late seventies, when I got the opportunity to watch ‘The Gold Rush’ at the Globe Theatre. At that time, I