সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। প্রথম পর্ব

অনার্য সংস্কৃতিকেও উদরস্থ করে গড়ে ওঠে এই ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি- আর্যব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি যখন অনার্য সংস্কৃতি অর্থাৎ আর্য সৃষ্ট তথাকথিত শূদ্র সংস্কৃতি আত্মসাত করতে শুরু করল, তখন অনার্যদের নাগ পূজা, প্রকৃতি পূজা, চাণ্ডী পূজা, সবকিছুর মধ্যে ব্রাহ্মণ্য আচার পদ্ধতি মিশিয়ে অনার্য সংস্কৃতিকেও উদরস্থ করতে লাগল। যিনি আর্য দলপতি ও দেবতা সম্মানে মান্য হতেন, সেই ইন্দ্রকে দুই বার যুদ্ধে পরাজিত করেন যে অনার্য বীর,সেই শ্রীকৃষ্ণের হাত থেকে এই আর্যদের গুরু হিসাবে কথিত ঋষি বৃহস্পতির মধ্যস্থতায় প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে যান । সেই কৃষ্ণ'কেও দেবতা হিসেবে গ্রহন করেন আর্যব্রাহ্মণেরা।

মুর্শিদ এ এম

জীবন ডাকে বারবার একজন সুস্থ মানুষ যতদিন এই ধরার বুকে থাকে, ততদিন তার মগজে এই অনিবার্য সত্যের সন্ধান থেকে রেহাই নেই—সে কেন বেঁচে আছে? যুগে যুগে এই প্রশ্নটি যেমন সৎ মানুষকে বিব্রত ও পীড়িত করেছে, তেমনি এর সমাধানেও প্রচুর সময় ব্যয় হয়ে আছে। জীবনের সঙ্গে জন্মের যোগ অঙ্গাঙ্গি এ আর নতুন কথা কী। জন্ম আদতে এক সূক্ষ্ম অথচ জটিল প্রাকৃতিক ক্রিয়া। তবু একে ঘিরে নানা প্রশ্ন, নানা সংস্কার, নানা জল্পনা। বেঁচে থাকা এই জন্মের এক বিস্তৃত অনিবার্য রূপ। যা ক্রমশ আরেক অনিবার্যতার দিকে ধাবিত করে, যাকে আমরা সহজভাবে মৃত্যু নামে বুঝি। এই দুই প্রাকৃতিক ক্রিয়া যাবতীয় দৃশ্যমান কিংবা কিছু অনুভূতিমান বস্তু কিংবা বস্তুগুণের প্রমাণসাপেক্ষে আমরা বুঝে থাকি। অথচ কোনো কোনো মতবাদ ইজম সংস্কার একে জটিলরূপে দেখতে বা নীরিক্ষা করতে চায়। যেমন কেউ কেউ জন্মকে আরেক বিগত জন্মের সাপেক্ষে এই ধরাধামে প্রবেশের ছাড়পত্র হিসেবে প্রতিভাত করতে চায়। তাঁদের মতবাদ মনে করে কিংবা বিশ্বাস করে, বিগত জন্মে সৎ বা অসততার সঙ্গে ইহজন্মের ভালোমন্দ জড়িত। তাহলে এক অতি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর চাওয়া যায়, বিগত জন্মের প্রমাণ কোথায়? সেটির সময়কাল বা তারি