সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বুলবুল আহমেদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বুলবুল আহমেদ

সংস্কৃতির নিঃসঙ্গ পথিক মন তুমি কৃষি-কাজ জাননা, এমন মানব জমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা। --- রাম প্রসাদ সেন মানব-জনমে ফসল ফলে না নানা কারনে, সোনা ফলা অনেক পরের ব্যাপারে। সবচেয়ে বড়ো প্রতিরোধের সৃষ্টি করে সামাজিক ও রাষ্ট্রিক প্রতিবেশ। সেখানে মননের অভাব, প্রীতির অভাব, প্রেমের অভাব, বন্ধুতার অভাব সংযমের অভাব, সবচেয়ে বড় অভাব আত্মমর্যাদার। আর এতগুলো না-থাকা জায়গা করে দেয় নিখিল নিচতা, শঠতা, সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতার জন্য। নিজের জীবনে মানুষের অবাধ অধিকার। জগৎকে মেরামত করে এইসব হীনবৃত্তি দূর করার চেয়ে নিজেকে সংশোধন করা অধিক প্রয়োজন। এই কাজে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রয়েছে সংস্কৃতি চর্চার। ধর্ম নয়, রাজনীতি নয়, মতবাদী নয়, মুক্তির পথ দেখায় সংস্কৃতি –  মানুষ নিজেকে খুঁজে পায়। এই কথা বলেছেন মোতাহার হোসেন চৌধুরী (১৯০৩- ৫৬) একান্ত নিভৃতে ‘সংস্কৃতি-কথা’ প্রবন্ধ সংকলনে। তাঁর ভাবনার আকাশে মেঘের মত ছায়া ফেলেছেন ক্লাইভ বেল ও বার্ট্রাণ্ড রাসেল। তিনি আমাদের শুনিয়েছেন শুভবোধের, নিরঞ্জন বুদ্ধির, উচ্চকিত যুক্তির ও ব্যক্তিপ্রত্যয়ের কথা।

বুলবুল আহমেদ

শামসুন নাহারঃ অগ্নি পরিধির যাত্রী : ‘ কঠোর উপল আঘাত সহিয়া, লঙ্ঘিয়া বাধা কত বিকশিত করি তুলেছ নিজেরে সূর্যকরের মত... অন্ধ ঘরের বন্ধনে এক আলোক পিয়াসী পাখি একদা এক আলোক দ্যুতির সংকেতে উঠি ডাকি ’ ---- সুফিয়া কামাল চলে যাওয়া বিশ শতকের গোড়ার কথা। তখন এ উপমহাদেশের মুসলমানদের জীবনে অশিক্ষার এক নিঃসীম অন্ধকার। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চরম দিশেহারা মুসলমান সম্প্রদায় ইংরেজ শাসনাধীনে সেদিন পর্যন্ত আধুনিক শিক্ষার প্রতি বিমুখ। শিক্ষার অভাবে জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই তারা পিছিয়ে পড়ছে, জীবনাচরণে ও মননে জড়তা আসছে এবং অসংগত ধর্মীয় গোঁড়ামির বাতাবরণে প্রায় স্তদ্ধ হতে বসেছে মুক্ত ভাবনা। মহিলাদের অবস্থা