সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভারত বিভাজন ও হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা : কার দ্বায় কতটা?

আলী হোসেন

ভালো-মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে - কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। কিন্তু কথাটার উত্তরাধিকার শুধু বাঙালি নয়, শুধু ভারতীয় নয়, ছড়িয়ে আছে বিশ্বময়। তাই আপনি বা আমি সবাই তারই অংশ। অর্থাৎ আমাদের জন্যও কথাটা স্মরণযোগ্য।

সত্যকে মেনে নেয়ার ক্ষমতা সবার থাকে না। অনেক বড় মনের মানুষ হতে হয় তার জন্য। হৃদয়ের ভিতরের আয়তনটাও অনেক বড় হওয়া দরকার। তবেই সেই সত্যকে সহজে নেওয়া যায়। শ্রদ্ধেয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তেমনি একজন বড় হৃদয়ের মানুষ। যে-হৃদয় সত্যকে সহজে গ্রহণ করার শক্তি অর্জন করেছে। বলেছেন, 
'তবে একটা জিনিস খুব চোখে পড়তো, মুসলিমরা যত হিন্দুদের বাড়ি যেতেন, হিন্দুরা তত যেতেন না মুসলমানদের বাড়ি। সে দিক থেকে আমি বলব, হিন্দুরা অনেক বেশি সাম্প্রদায়িক। এখন তারই উগ্র চেহারা দেখতে পাচ্ছি।'

আপনার সে শক্তি কি আছে এই সত্যকে স্বীকার করে নেওয়ার? কিন্তু থাক বা না থাক, আপনার ক্ষমতার উপরে বা শক্তির উপরেই তো শুধুমাত্র সত্য নির্ভরশীল নয়। তার নিজস্ব একটা শক্তি আছে। সে শক্তিকে আত্মস্থ করার মতো ক্ষমতা সবার হয় না, বলা ভালো থাকেনা। তাকে অর্জন করতে হয়। 

তবে এটাকে আমি আপনার ব্যক্তিগত দোষ বলে মনে করিনা। কারণ, আপনার মনের কোণে যে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস জায়গা করে নিয়েছে তা নিয়ে আপনি জন্মাননি। বিখ্যাত পাশ্চাত্য দার্শনিক জন লক, বলেছিলেন, জন্মের সময় মানুষের মন থাকে সাদা কাগজের মতো। আপনিও সেই সাদা মন নিয়েই জন্মেছিলেন। একটু চিন্তা করলেই দেখবেন কথাটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আপনি হিন্দু না মুসলিম, জন্মের পরপর যখন আপনার একটু একটু করে জ্ঞান হয়, আপনি তা জানতেন না । আপনার পরিবার, আপনার সমাজ, বারে বারে আপনাকে যেটা শিখিয়েছে, সেটাই শিখেছেন। তাই আপনি হিন্দু আমি মুসলিম। এটা আমার আপনার অর্জন নয়। এটা অন্যের কাছ থেকে পাওয়া একটা উপলব্ধি মাত্র। অর্থাৎ অন্যের উপলব্ধি, যা আমার আপনার ঘাড়ে এসে চেপে বসেছে।

আপনি ওটাকে ছুড়ে ফেলুন। মাথার ভেতরের জায়গাটাকে খালি করে দিন। একটু পড়াশোনা করুন। দেখবেন, জগতের আসল সত্যটা আস্তে আস্তে সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে। যে সত্য সৌমিত্র বাবু উপলব্ধি করেছেন, অর্থাৎ অর্জন করেছেন, তা আপনারও অর্জনের আওতায় চলে আসছে।

সেদিন আপনিও বুঝতে পারবেন, ভারত উপমহাদেশ একটি বহুজাতিক ভূখন্ড। আর এ কারণেই এখানে কোন একটি বিশেষ ধর্ম নিজের আধিপত্য কায়েম করতে পারেনি। প্রাচীন যুগ থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ বহুত্ববাদের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে। 'শক হুন দল পাঠান মোগল', তারও আগে আর্যদের এখানে আসার পরেও, তারা তাদের নিজস্ব যে ধর্ম বা সংস্কৃতি, যা তারা বয়ে এনেছিলেন, তাকে কায়েম করতে পারেন নি। এটা একটা ঐতিহাসিক সত্য। কিন্তু হাল ছাড়েননি ব্রাহ্মণ্যবাদী বৈদিক সভ্যতার ধারক ও বাহকরা।

স্বাধীনতার প্রাক্কালে, আরএসএস গঠন করে এবং জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে ঢুকে কৌশলে হিন্দুত্ববাদের নাম করে নতুন করে উঠেপড়ে লাগে ভারতকে এক জাতি ও এক ধর্মের অনুসারী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।

গোলটা পাকে সেখানেই। গান্ধীজী, সুভাষ বসু, চিত্তরঞ্জন দাস, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ এবং মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা চেষ্টা করেছিলেন ভারতকে অখন্ড রাখতে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী নেতারা বুঝেছিলেন অখন্ড ভারত থাকলে তাদের স্বপ্নের হিন্দুরাষ্ট্র, যা মনুবাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলার ইচ্ছা, যুগ যুগ ধরে বয়ে নিয়ে আসছেন, তা কার্যকরী হবে না। সে-ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হচ্ছে ব্রাহ্মণ্যবাদী জনগোষ্ঠীর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা। আর তা না থাকলে তাদের মনুবাদী রাজ কায়েম করা সম্ভব হবে না। তাই ভারত বিভাগের ষড়যন্ত্র তারাই করেছিলেন, যারা নিজেদেরকে একক বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছিলেন। মুসলিমরা অন্য রাষ্ট্র পেলে সেখানে চলে যাবে এবং ভারতে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীতে পরিণত হবে এবং মনুবাদী হিন্দু রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে পারবে - এই ছিল হৃদয় গহীনের গোপন ইচ্ছা। আসলে এটা একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। যার পরিণতিতে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাজন।

ধর্মীয় কারণে মুসলিমরা যদি ভারত বিভাজনের জন্য দাবি করবে, তাহলে নিজের কাছে প্রশ্ন করুন, পাকিস্তান কেন দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল? পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তো ছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বী। যুক্তিবাদী মন নিয়ে এই তথ্য বিশ্লেষণ করুন। দেখবেন সেখানে উঠে আসবে জাতিরাষ্ট্রের ধারণা। পাকিস্তান যদি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মেনে নিত এবং বাঙালি জাতির জাতিসত্তাকে সম্মান জানাত, তাহলে পাকিস্তান ভাগ হতো না। ভারত বা বাংলা বিভাজনের পিছনে ধর্মের নয়, হিন্দুত্ববাদী মনুবাদী রাজনৈতিক দর্শনই মূল ভূমিকায় ছিল। পরবর্তীতে মুসলিম মৌলবাদীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে, যা ভারত বিভাজনকে ত্বরান্বিত করেছিল মাত্র। সদ্য স্বাধীন ভারতের সরকার সে রাস্তায় হাঁটেনি এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে সংবিধান তৈরী ও তা কার্যকর করেছিল বলেই ভারতের ঐক্য ও সংহতি অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা সত্বেও টিকে আছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পঞ্চাশটি অঙ্গরাজ্য, একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা ও পাঁচটি স্বশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। অর্থাৎ দেশটির রাষ্ট্রকাঠামো যুক্তরাষ্ট্রীয়। সেখানে প্রত্যেকটা প্রদেশের জন্য আলাদা আলাদা পতাকা এবং সংবিধান রয়েছে। এগুলোকে স্বীকার করে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীতে বৃহৎ শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এই সত্য যদি ভারতের ক্ষেত্রে আরএসএস স্বীকার করে নিত, মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে যদি রাজনৈতিক ক্ষমতার ভাগাভাগি মেনে নিত, তাহলে কখনই ভারত বিভক্ত হতো না। এটাই আসল ইতিহাস। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাবেদারী করতে হতো না ভারতকে। উল্টে ভারতও একটি মহাশক্তিতে পরিণত হতো।

আরএসএস এবং ব্রিটিশের চক্রান্তে মুসলিম লীগের জন্ম এবং পরবর্তীতে মুসলিম লীগ ও আরএসএস এর মুখপাত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের চক্রান্তে অবিভক্ত বাংলাও বিভক্ত হয়ে গেল। এর পিছনেও রয়েছে মনুবাদীদের বাঙালি বিদ্বেষী রাজনীতি। দুই বাংলা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতো এবং ভারত যদি অবিভক্ত থাকতো, তাহলে ভারতের রাজনৈতিক ক্ষমতার ভরকেন্দ্র গুজরাট বা উত্তরপ্রদেশ নয়, হতো বাংলা এবং বাঙালি। শ্যামাপ্রসাদ প্রথমদিকে এই চক্রান্ত ধরতে পারেন নি। বাংলা ভাগের পর বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের চরম দূর্দশার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার পরই তার ভুল ভেঙেছিল। বুঝেছিলেন, তিনি ভুল করেছেন বাংলা ভাগ চেয়ে। ১৯৫২ সালের নদীয়ায় এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, বাংলা ভাগের জন্য মানুষের (পড়ুন উদ্বাস্তুদের) এত কষ্ট হবে, এ যদি আগে বুঝতে পারতাম তাহলে বাংলা ভাগ চাইতাম না।

আগেই বলেছি ভারত একটি বহুজাতিক ভূখন্ড। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান। বিবিধের মাঝে মিলন যে-দেশের মর্মবাণী, ইতিহাসের পাতা খুলে দেখুন, এ শিক্ষাকে সর্বপ্রথম উপেক্ষা করেছেন বা অস্বীকার করেছেন আরএসএসের নেতারা। তাদের একের পর এক চক্রান্তের কারণে জিন্না পৃথক রাষ্ট্রের দাবি করে বসেন। আর গান্ধীজি আরএসএস-র হাতে শহীদ হন।

সুতরাং একটা বহুজাতিক ভূখণ্ডের উপযুক্ত রাজনৈতিক দর্শন যা হওয়া উচিৎ তা হল ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা। ঐক্যবদ্ধ থাকলে সেটাই হত ভারতের রাষ্ট্র দর্শন তথা সংবিধানের মূল ভিত্তি। উপমহাদেশের বৃহত্তম ভূখণ্ড নিয়ে গড়ে ওঠা ভারত রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় চরিত্র নিয়ে আত্মপ্রকাশ করাই ছিল স্বাভাবিক বাস্তবতা। ( যদিও বাস্তবে তা হতে দেয় নি যারা, তারা ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছেন। নজর নির্দিষ্ট হয়েছে প্রধানত জিন্না ও গান্ধীজির ওপর ) স্বাধীন ভারতও এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই গড়ে উঠেছে। এটাই আসল ভারত বর্ষ। এর উল্টো পথে হাঁটতে গেলেই ভারতের অখন্ডতা হুমকির মুখে পড়বে।

সুতরাং ধর্মনিরপেক্ষতা, ভারতের প্রাচীনতম একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা। আধুনিক সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রীয় রাষ্ট্রদর্শন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই শব্দটির সংযুক্তির পিছনে রয়েছে ভারতবর্ষের ঐক্য ও সংহতির মূল চাবিকাঠি। তাকে ভাঙার চেষ্টা করার যে চেষ্টা আরএসএস প্রমূখ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি করেছিল তার ফলেই দেশটা বিভক্ত হয়েছে। নতুন করে এই কাঠামোকে পাল্টাতে গেলেও সঙ্কট দেখা দেবে বলেই আমার ধারণা। 

ধর্মই যদি ভারত বিভক্তির কারণ হত তাহলে মুসলিমদের নিয়ে তৈরি পাকিস্তান দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যেত না। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছোট-ছোট অসংখ ভাগে বিভক্ত হত না এবং তাদের মধ্যে যুদ্ধ-বিবাদ লেগে থাকতো না। কারণ  মুসলিম শাসকদের অধীনে থাকা এই অংশেরই বৃহৎ জনগোষ্ঠীই ইসলাম ধর্মাবলম্বী।  সুতরাং ধর্মই বিভাজনের মূল কারণ এই ধারণা অসম্পূর্ণ এবং ভুল তথ্য দ্বারা প্রভাবিত। মূল কারণ নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর (ভারতের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণ্যবাদী তথা মনুবাদী গোষ্ঠীর) রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত। ধর্ম এক্ষেত্রে হাতিয়ার মাত্র।
 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বুলবুল আহমেদ

সংস্কৃতির নিঃসঙ্গ পথিক মন তুমি কৃষি-কাজ জাননা, এমন মানব জমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা। --- রাম প্রসাদ সেন মানব-জনমে ফসল ফলে না নানা কারনে, সোনা ফলা অনেক পরের ব্যাপারে। সবচেয়ে বড়ো প্রতিরোধের সৃষ্টি করে সামাজিক ও রাষ্ট্রিক প্রতিবেশ। সেখানে মননের অভাব, প্রীতির অভাব, প্রেমের অভাব, বন্ধুতার অভাব সংযমের অভাব, সবচেয়ে বড় অভাব আত্মমর্যাদার। আর এতগুলো না-থাকা জায়গা করে দেয় নিখিল নিচতা, শঠতা, সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতার জন্য। নিজের জীবনে মানুষের অবাধ অধিকার। জগৎকে মেরামত করে এইসব হীনবৃত্তি দূর করার চেয়ে নিজেকে সংশোধন করা অধিক প্রয়োজন। এই কাজে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রয়েছে সংস্কৃতি চর্চার। ধর্ম নয়, রাজনীতি নয়, মতবাদী নয়, মুক্তির পথ দেখায় সংস্কৃতি –  মানুষ নিজেকে খুঁজে পায়। এই কথা বলেছেন মোতাহার হোসেন চৌধুরী (১৯০৩- ৫৬) একান্ত নিভৃতে ‘সংস্কৃতি-কথা’ প্রবন্ধ সংকলনে। তাঁর ভাবনার আকাশে মেঘের মত ছায়া ফেলেছেন ক্লাইভ বেল ও বার্ট্রাণ্ড রাসেল। তিনি আমাদের শুনিয়েছেন শুভবোধের, নিরঞ্জন বুদ্ধির, উচ্চকিত যুক্তির ও ব্যক্তিপ্রত্যয়ের কথা।

আবদুল হক

একজন গোবিন্দ দেব ও তাঁর নীরবতা দিবস গোবিন্দচন্দ্র দেব কেবল পণ্ডিত ও দার্শনিক ছিলেন না, জীবনযাপনে আক্ষরিক অর্থেই তিনি ছিলেন একজন পরহেযগার মানুষ। নীরব ধ্যানী, নিবিষ্ট চিন্তক, নিভৃত সাধক। আমরা কেউ পুণ্যবাদী, কেউ পুঁজিবাদী। তিনি এ দুয়ের বাইরে গিয়ে, উর্ধে উঠে, হয়েছিলেন মানুষবাদী।

সত্যরঞ্জন বিশ্বাস

প্রেক্ষিত চড়কঃ মুসলিম ও অন্যান্য অনুষঙ্গ বর্ষশেষের উৎসব হিসাবে ‘ চড় ক ’ বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি লোকোৎসব। গ্রামবাংলার নিম্নবর্গীয় শ্রমজীবি মানুষেরাই চড়ক উৎসবের মূল হোতা। দরিদ্রদের এই মহোৎসবকে বসন্তোৎসব হিসাবেও গণ্য করা যায়।